![]() |
নাটোরের হানিফউদ্দিন মিয়া ও বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার |
ছেলেবেলায় আর দশটা সাধারণ ছেলের মতই গ্রামের পাঠশালায় সম্পন্ন হয় তার প্রাথমিক শিক্ষা। উচ্চ শিক্ষার জন্য গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমান ঢাকা শহরে। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে কম্পিউটার সায়েন্স ও নিউমেরাল ম্যাথেমেটিকস এর ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তার ছিল শিল্প-সাহিত্যসহ আরও নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের প্রতি অপরিসীম আগ্রহ। তিনি বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও আরবি, উর্দু, হিন্দি, রাশিয়ান ও জার্মান ভাষা জানতেন। মোঃ হানিফ উদ্দিন ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে প্রথম শ্রেণীতে স্বর্ণপদকসহ প্রথমস্থান অধিকার করেন।
১৯৬০ সালে তিনি ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন থিওরি অ্যান্ড অটোমেশন, চেকোস্লোভাক একাডেমি অব সায়েন্স, প্রাগ থেকে এনালগ কম্পিউটার টেকনিক ও ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে এম.আই.টি (ইউএসএ) কম্পিউটার সেন্টার থেকে সিস্টেম এনালিসিস, নিউমেরাল ম্যাথেমেটিকস, এডভান্স কম্পিউটার প্রোগামিং এবং অপারেশন রিসার্চের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ১৯৭৫ সালে লন্ডনের আইবিএম রিসার্চ সেন্টার থেকে অপারেটিং সিস্টেম ও সিস্টেম প্রোগামিং এর ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। হানিফ উদ্দিন ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থায় প্রোগ্রামার এনালিস্ট হিসেবে এনালাইসিস, ডিজাইন, সফ্টওয়্যার ইমপ্লিমেন্টেশন অব কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মরত ছিলেন।
১৯৮৮ সালে তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে পার্টটাইম শিক্ষকতা করেন। এ ছাড়াও গণিতশাস্ত্র ও কম্পিউটার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন ।
বাংলাদেশে কম্পিউটার বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মোহাম্মদ হানিফ উদ্দিন মিয়ার গভীর অবদান রয়েছে ।
১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটারটি বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পরমাণু শক্তি কমিশনের কেন্দ্র ঢাকায় স্থাপিত হয়। এই কম্পিউটারটি দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি ডিজিটাল মেইনফ্রেম কম্পিউটার ছিল। ১৯৬৪ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে আসা এবিএম ১৬২০ কম্পিউটারটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে স্থাপন ও পরিচালনার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। নাটোরের হুলহুলিয়া গ্রামের সেই হানিফ উদ্দিন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কম্পিউটার সার্ভিস ডিভিশনের ডাইরেক্টর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি প্রথমবারের মত মিডিয়ার সামনে আসেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) কম্পিউটার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ।
পারিবারিক জীবনে মোঃ হানিফ উদ্দিনের যোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন ফরিদা বেগম। তিনি এক পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক। এই অসাধারণ মেধাবী ও গুণী ব্যক্তিটি ২০০৭ সালে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন ।
লেখাঃ সাইমুম সালেহীন
১৯৮৮ সালে তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে পার্টটাইম শিক্ষকতা করেন। এ ছাড়াও গণিতশাস্ত্র ও কম্পিউটার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন ।
বাংলাদেশে কম্পিউটার বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মোহাম্মদ হানিফ উদ্দিন মিয়ার গভীর অবদান রয়েছে ।
১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটারটি বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পরমাণু শক্তি কমিশনের কেন্দ্র ঢাকায় স্থাপিত হয়। এই কম্পিউটারটি দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি ডিজিটাল মেইনফ্রেম কম্পিউটার ছিল। ১৯৬৪ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে আসা এবিএম ১৬২০ কম্পিউটারটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে স্থাপন ও পরিচালনার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। নাটোরের হুলহুলিয়া গ্রামের সেই হানিফ উদ্দিন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কম্পিউটার সার্ভিস ডিভিশনের ডাইরেক্টর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি প্রথমবারের মত মিডিয়ার সামনে আসেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) কম্পিউটার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ।
পারিবারিক জীবনে মোঃ হানিফ উদ্দিনের যোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন ফরিদা বেগম। তিনি এক পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক। এই অসাধারণ মেধাবী ও গুণী ব্যক্তিটি ২০০৭ সালে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন ।
লেখাঃ সাইমুম সালেহীন