ছবি : বেস্টসেলার ইসলামি বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১-২। |
জনপ্রিয় অনলাইন বুকশপ রকমারি ডটকমের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৪ হাজার প্রকাশনীর মাঝে শীর্ষ চারটির দুটি প্রকাশনীই ইসলামি ভাবধারার। গত ৩০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সোহাগ এক ভিডিওতে এ তথ্য তুলে ধরেন। ইসলামি ভাবধারার প্রকাশনী দু’টি হলো গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স ও সমকালীন প্রকাশন।
প্রকাশনা জগতে দুটো প্রতিষ্ঠানই নবীন। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স আলোচনায় আসে আরিফ আজাদের লেখা বেস্টসেলার বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ দিয়ে। ২০১৭- এর একুশে বইমেলায় এটি ছিল সর্বাধিক বিক্রিত বই। এরপর ২০১৯-এর বইমেলায় সমকালীন প্রকাশন নিয়ে আসে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’। মেলা চলাকালীন মাত্র ৭ দিনে ৮ হাজার কপি বিক্রি হয় বইটির। কিন্তু প্রকাশনার হোল্ডিং নম্বর না থাকার ঠুনকো অভিযোগে মেলায় বইটির বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর দুটো প্রকাশনীই মৌলিক ও অনুবাদ বহু বই বাজারে নিয়ে আসে। প্রতিটি বই-ই পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
রকমারির এ সমীক্ষায় আশায় বুক বাঁধছেন মুসলিম চিন্তাবিদরা। তারা এটাকে ইসলামের এক ‘নিরব বিপ্লব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ইসলামি ভাবধারার প্রকাশনী কীভাবে চৌদ্দ হাজার প্রকাশনীর মধ্যে ২য় এবং ৪র্থ হলো? এ থেকে বোঝা যায় যে, আসলে দেশে একটা নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। যুব সমাজের মধ্যে ইসলাম এমনভাবে ছড়িয়েছে, যেটা অকল্পনীয় ছিল আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগেও। ইসলাম আগের মতন একটি প্রান্তিক আইডিওলজি নেই। ইসলাম এখন এ দেশে মূলধারা হয়ে গেছে।’
মূলত ২০১৩-এর পর থেকেই ইসলামি অঙ্গনে বুদ্ধিবৃত্তিক ও জ্ঞানতাত্ত্বিক এক উত্থান শুরু হয়েছে। প্রকাশনা জগতে শুরু হয়েছে এক নিরব বিপ্লব, যা আজ থেকে দশ-বিশ বছর আগে কল্পনাও করা যেত না। একটা সময় পর্যন্ত ইসলামি বই, ইসলামি সাহিত্য বলতে ‘মকসুদুল মুমিনিন’ আর ‘বার চান্দের ফজিলত’ টাইপের বইকেই বোঝানো হতো। সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে এখনকার ইসলামি প্রকাশনীগুলো।